ধরো।
শীতের রাতে তুমি ঘুমাচ্ছো। আমি মাঝরাতে
তোমাকে কোলে
করে ফ্লোরে শুইয়ে এক বালতি পানি এনে
তোমাকে ভিজিয়ে
দিয়ে যদি বলি, ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।
তুমি কী তখন রাগ করবে? না কী মুচকি হেসে বলবে,
ভালবাসি
তো পাগলটা।
ধরো।
একদিন তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো। তুমি সকাল
থেকে
সাজগোছ করছো। এক মিনিটের কথা বলে বাইরে
গিয়ে আমি বাড়ি
ফিরলাম রাত বারোটায়। তুমি দরজা খুলতেই আমি যদি
জড়িয়ে ধরে বলি,
ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।
তুমি কী তখন রেগে গিয়ে আমাকে দূরে ঠেলে
দিবে? না
কী বুকের মাঝে কয়েকটা লাজুক কিল-ঘুষি দিয়ে
বলবে, ভালবাসি
তো, পাজি ছেলে।
ধরো।
তোমার পছন্দের সিনেমাটা দেখছি টিভিতে। হিরো
আসছে
ভিলেনকে মেরে নায়িকাকে উদ্ধার করতে। টান
টান উত্তেজনা।
তুমি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছো। সেই মুহূর্তে যদি
টিভিটা
বন্ধ করে তোমার গালে আলতো করে একটা
থাপ্পড় দিয়ে বলি,
তোকে অনেক গুলো ভালবাসি।
তুমি কী তখন বাচ্চাদের মতো ওয়াঁ ওয়াঁ কাঁদবে?
না কী আমার
শার্টের কলারে ধরে বলবে, যে জায়গায় ব্যাথা
দিছো ঐ জায়গায়
এখন অনেক আদর করতে হবে। নাহলে ভালবাসি না।
ধরো।
তুমি সকালে গোসলখানায় গিয়েছো গোসল করতে।
আমি
তোমাকে বাইরে থেকে বন্ধি করে দিলাম। তুমি
চিল্লাপাল্লা
করছো। আমি যদি তখন পাঁচ ঘণ্টা পর দরজা না খুলেই
বাইরে থেকে
বলি, আমার পেত্নীটাকে আমি এত্তগুলো ভালবাসি।
তুমি কী তখন দরজায় ঠকঠক করে বলবে, আগে দরজা
খুলো,
তারপর আমি ভালবাসা দেখাচ্ছি? না কী চিল্লানী
দিয়ে বলবে, বদ
ছেলে ভালবাসি তো।
ধরো।
রাত্রি শেষ প্রহরে আমি গায়ে লম্বা একটা সাদা
পোশাক পরলাম,
মুখে কঙ্কালের মুখোশ দিয়ে ভূত সেজে
তোমাকে ভূতুরে
শব্দ করে ভয় দেখালাম। তুমি ভয়ে কাঁপছো। সেই
মুহূর্তে যদি
আমি মুখোশটা খুলে বলি, ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।
তুমি কী তখনও আমাকে ভূত ভেবে ভয় পাবে? না
কী হেসে
দিয়ে বলবে, শয়তান বর। আমিও কী কম ভালবাসি না
কী......