তুসেডেডিসের ফাঁদ তত্ত্ব ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বিবাদ


আন্তর্জাতিক রাজনীতি 

তুসেডেডিসের ফাঁদ তত্ত্ব ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বিবাদ



"উদীয়মান শক্তি ও বিদ্যমান পরাশক্তির মধ্যে সংঘাত অনিবার্য " এই তত্ত্বকেই বলা হয় তুসেডেডিসের ফাঁদ তত্ত্ব। 


তুসেডেডিস কে?


তুসেডেডিস জন্মগ্রহন করেছিলেন প্রাচীন গ্রীসের এথেন্স শহরে খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০ অব্দে। তিনি ছিলেন একজন সমরবিদ ও ঐতিহাসিক। তার সময়ে স্পার্টা ছিল খুবই শক্তিশালী, আর তখন এথেন্সও ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছিল। এথেন্সের এই বাড়ন্ত শক্তি দেখে স্পার্টা ভীত হয়ে এথেন্সের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধ হয় এর শেষ পরিনতি। স্পার্টা ও এথেন্সর এই সম্পর্ক পর্যবেক্ষন করে তুসেডেডিস এই তত্ত্বটি দিয়েছিলেন। 

তো বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অবস্থা পর্যবেক্ষন করে অনেক বিশ্লেষকই একে তুসেডেডিসের ফাঁদ তত্ত্বের সাথে তুলনা করছেন। যেখানে আমেরিকা হলো বড় পরাশক্তি আর চীন হলো উদীয়মান পরাশক্তি। রাজনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক, কুটনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক সব দিক থেকেই দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়ছে। আর এর শেষ পরিনতিতে হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
 
যদিও চীনের প্রেসিডেন্ট শি ঝিনপিং ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় এই তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন — যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পারিক বুঝাপড়া আরো গভীর করতে চাই আমরা। অন্যান্য কৌশলগত এবং উন্নয়ন বিষয়ক খাতেও আমরা সহযোগিতা বাড়াতে চাই। শি আরো বলেন — বিশ্বে তুসেডেডিসের ফাঁদের মত কিছু নেই। বড় দেশগুলো নিজেদের ভুলে এই ফাঁদে পা দিয়েছে এর বেশি কিছু নয়।

তবে চীনের প্রেসিডেন্ট এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিলেও বিশ্লেষকেরা কিন্তুু উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কারন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্রাহাম অ্যালিসন গত ৫০০ বছরে ঘটা তুসেডেডিসের ফাঁদ এর ১৬টি ঘটনা পর্যবেক্ষন করেছেন। এর মধ্যে ১২টি ক্ষেত্রেই যুদ্ধ হয়েছে।
/
ইন্টারনেট

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form